Business Category
Schools

Mudafa Hazi Sayed Ali High School in Tongi, Gazipur

রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে ঐতিহ্যবাহী গাজীপুর জেলার তৎকালীন টঙ্গী পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডে জন্ম গ্রহন করেছিলেন ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে নির্বাচিত এম.পি মরহুম আব্দুল হাকিম মাষ্টার। তিনি টঙ্গীতে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন টঙ্গী হাই স্কুল বর্তমান টঙ্গীর শ্রেষ্ঠশিক্ষা প্রতিষ্ঠান টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ। তিনি নিজে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন, এই প্রতিষ্ঠানে। টঙ্গীর অনেক বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ তার ছাত্র। তার মধ্যে মরহুম শব্দর আলী মাষ্টার, সাবেক এম.পি কাজী মোজাম্মেল হক, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, শহীদ আহসান উল্লা মাষ্টার এ.পি,মরহুম আবুল হাসিম চেয়ারম্যান,আব্দুল আউয়াল কমিশনার,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিস আলীসহ অনেক যোগ্য নেতৃত্ব তিনি তৈরী করে গেছেন। টঙ্গী হাই স্কুল প্রতিষ্টা সহ অনেক কাজ তিনি করেছেন,কিন্তু যে কারনেই হোক নিজের গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারেননি।

 

এমতাবস্থায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত হবার পর বাংলাদেশের রাষ্টীয় ক্ষমতায় আসেন মেজর জিয়াউর রহমান। দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর পর দক্ষিন এশিয়ার শ্রেষ্ট মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ইং সালের সংসদ নির্বাচনে দেশের রাষ্ট্রীয় ÿমতায় আসেন। সেই সাথে পূবাইল উনিয়ন পরিষদের ২বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান,গাজীপুর সদর উপজেলার ২বার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আহ্‌সান উলস্নাহ মাষ্টার গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা হিসাবে গাজীপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়েই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কাজে।

তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ইং সালের ০২ জানুয়ারী মুদাফার বিশিষ্ট মাদবর মরহুম হাজী সৈয়দ আলী মাদবরের ছোট ছেলে হাজী মোঃ সিরাজ মাদবরের বাড়ীতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে আসেন আহ্‌সান উলস্নাহ মাষ্টার এম.পি। অনুষ্ঠান শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার এক ফাঁকে আহ্‌সান উলস্নাহ মাষ্টার এ.পি সাহেব বলেন যে,এই মুদাফা গ্রামটি একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম এই গ্রামেই জন্ম গ্রহন করেছে আমার স্যার মরহুম আব্দুল হাকিম মাষ্টার এম.পি। আমি তার ছাত্র। এটা আমার গ্রাম। এই গ্রামে কোন হাই স্কুল নাই। ঐ আলোচনায় আমি মোঃ ফারুক আহাম্মদ বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়) উপস্থিত ছিলাম। স্যার প্রস্তাব করার সাথে সাথে আমার শ্রদ্ধাভাজন দাদা হাজী মোঃ সিরাজ মাদবর,আমার বাবা হাজী মোঃ আলী মেম্বার,চাচা আবুল হাসিম চেয়ারম্যান,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিস আলী,বিশিষ্ঠশিক্ষানুরাগী আব্দুল মালেক হাজীর ছেলে মিজানুর রহমান সবাই বলল আমরা জমি ব্যবস্থা করে দিব আপনি আমাদের সকলের মুরব্বি হাজী সৈয়দ আলী মাদবরের নামে একটি হাই স্কুল করে দেন। জমির ব্যবস্থার কথা শুনে স্যার তাৎক্ষনিক আমাদের ওয়ার্ডের তৎকালীন কমিশনার জনাব মোঃ আব্দুল আলীম মোলস্নাকে সভাপতি এবং আমাকে সদস্য সচিব করে একটি স্কুল নির্মান কমিটি করে দিয়ে গেলেন এবং বললেন আপনারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুল নির্মান কমিটির মাধ্যমে স্কুলের নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিবেন,আমি আগামী ১৮ এপ্রিল ১৯৯৮ইং তারিখে মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্ত্মর স্থাপন করব। আপনারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তারপর স্কুল নির্মান কমিটির মাধ্যমে ১২ফেব্রম্নয়ারী ১৯৯৮ইং তারিখে হাজী সিরাজ মাদবর সাহেব মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিলেন।

তারপর এল ঐতিহ্যবাহী মুদাফা গ্রামবাসীর আজীবন লালিত স্বপ্ন পূরনের সেই মহেন্দ্র ক্ষন ১৯৯৮ইং সালের ১৮ এপ্রিল মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থানকে নতুন সাজে সাজিয়ে অপেক্ষা করতে থাকল গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা আহ্‌সান উলস্নাহ মাষ্টার এম.পির জন্য। অপেক্ষার পালা শেষ করে ভাওয়াল বীর আহ্‌সান উলস্নাহ মাষ্টার এম.পি বীরের বেশে এসে হাজির হলেন মুদাফার মাটিতে। ১৮ ফেব্রবুয়ারী ১৯৯৮ইং রোজ শনিবার বেলা ১২.৩০ মিনিটে আহসান উল্লা মাষ্টার এম.পি বত্তৃতা টেবিলে দাড়িয়ে দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষনা করলেন মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্ত্র এবং সেই সাথে বরাদ্দের ঘোষনা দিলেন ১০ টন গমের। বললেন আজ থেকে মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরম্ন হল। আপনারা কাজ শুরম্ন করেন বাদবাকী টাকা আমি ব্যবস্থা করব। পূরন হল মুদাফা বাসীর আজীবন লালিত স্বপ্ন।

তার পর শুরুহল বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মান এর কাজ। কাজ চলাকালীন নির্মান কমিটি এলাকার সকল নেতৃবৃন্দের পরামর্শে কমিশনার মোঃ আব্দুল আলীম মোল্লা ও আমি মোঃ ফারুক আহাম্মদ মুদাফা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি তিন রুম বিশিষ্ট পরিত্যাক্ত ভবনে আসবাবপত্র তৈরী করে ০১ জানুয়ারী ১৯৯৯ইং তারিখ থেকে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরুকরার সকল ব্যবস্থা করলাম। ০১/০১/৯৯ইং থেকে ১৯/০১/৯৯ইং তারিখ পর্যন্ত মোট ৩৭ জন ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি হল বিদ্যালয়ে। এর মধ্যে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়  à¦¶à¦¿à¦•à§à¦·à¦•/কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল। ১৯ জানুয়ারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হল। নিয়োগ কমিটির কমিটির সভাপতি হিসেবে আহসান উল্লা মাষ্টার এম.পি,সদস্য হিসেবে তৎকালীন টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ অজমত উলস্না খান,কমিশনার মোঃ আব্দুল আলীম মোল্লা সহ ম্যানেজিং কমিটির আরো কয়েক জন দায়িত্ব পালন করে সকল প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষায় গ্রহন করে আমি মোঃ ফারম্নক আহাম্মদকে প্রধান শিক্ষক,মোঃ আমিরুল ইসলাম,মোসাঃ শাহানাজ বেগম,মোঃ গোলাম মোস্তফা,মোঃ জাফর আহম্মেদ কে সহকারী শিÿক ও মোঃ আফসার উদ্দিনকে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরম্ন করার ব্যবস্থা করে দিলেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকানো নয় শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। মাত্র ৩৭জন ছাত্র/ ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরম্ন হল।বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমের সাথে একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলছে। হঠাৎ ২০০০ সালের মে মাসের দিকে পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মোঃ মাহাবুব আলম আমাকে ফোন করে বললেন তোমার স্কুল এমপিও ভুক্ত হয়ে গেছে। স্যার এমপিও তালিকায় তোমার স্কুলের নাম তালিকা ভ্থক্ত করে দিয়েছে। স্যারকে ফোন দিলাম স্যার বলল, সকল কাগজ পত্র নিয়ে শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ কর। কিন্তু তখন স্কুলের স্বীকৃতি না থাকার কারনে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়নাই। তার পর স্যার যতদিন ছিলেন চেষ্টা করে গেছেন। বিরোধী দলীয় এম.পি হওয়ার কারনে করতে পারেনি। ৭ মে স্যার নিহত হওয়ার পর স্যারের যোগ্য উত্তরসুরী জননেতা মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বিপুল ভোটে এম.পি, নির্বাচিত হয়েই আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব নিলেন এবং স্কুল উন্নয়নের জন্য যখন যা প্রয়োজন তা করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। তার পর ২০০৯ সালে অবারও আওয়ামীলীগ সরকার  à¦•à§à¦·à¦®à¦¤à¦¾à§Ÿ এসে এমপিও ভুক্তির জন্য মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ১নম্বরে রেখে ডিও লেটার দিলেন। ২০১০সালের মে মাসে এমপিও তালিকা প্রকাশ করা হল কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ের নাম তালিকায় নাই। এম.পি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল সাহেবকে জানালাম। তিনি ৭মে স্যারের মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্কুলে এসে আবারও ঘোষনা দিলেন আমি যে কোন ভাবে এই বিদ্যালয়কে এমপিও ভুক্ত করাব। তিনি চলে গেলেন সরাসরি প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে এমপিও তালিকা সংশোধন করে প্রকাশ করা হল। আমাদের মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হল। আর ২০১১সালে এমপি সাহেব বিশেষ বরাদ্দ ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের জন্য একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মান করে দিয়ে এই বিদ্যালয়টিকে টঙ্গীর মধ্যে একটি বিশেষ স্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করলেন।

 

বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি টঙ্গীর সকল এমপিও ভুক্ত ২২টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পি.ই.সি, জে.এস.সি এবং এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৫ম স্থান দখল করে নিয়েছে। তাই মাননীয় সাংসদ জননেতা মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এবং এলাকার বিভিন্ন দাতা ব্যাক্তিদের সহায়তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে এই বিদ্যালয়টিকে কলেজে পরিনত করে, টঙ্গীর শ্রেষ্ঠপ্রতিষ্ঠানে পরিনত করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

 

 

পরিশেষে,বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ আহ্‌সান উলস্নাহ মাষ্টার এম.পি স্যারের রুহের মাগফেরাত কামনা করে, তার পরিবারের সকল সদস্যদের এবং অত্র এলাকার সর্বস্ত্মরের জনগনের প্রতি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

Hours of Operation

Saturday

8:00 AM
to
4:00 PM

Sunday

8:00 AM
to
4:00 PM

Monday

8:00 AM
to
4:00 PM

Tuesday

8:00 AM
to
4:00 PM

Wednesday

8:00 AM
to
4:00 PM

Thursday

8:00 AM
to
4:00 PM

Friday

12:00 AM
to
11:59 PM

Reviews

5.0

Total 3 Ratings

Write your review


Nice school

Reviewed on May 09, 2018


good thanks

Reviewed on May 09, 2018


good school

Reviewed on May 09, 2018

Location Map